রোযার নিয়ত, তারাবীর নামাযের নিয়্যত, ইফতারের নিয়ত, রোযার ফজিলত
রোযার বিবরণ
রোযা ইসলাম ধর্মের তৃতীয় রুকন বা ভিত্তি। রোযা আল্লাহ্ তাআলা মানুষের ধৈর্যের শিক্ষাদান ও আত্মার বিভিন্ন রিপু দমন করিবার জন্য ফরজ করিয়াছেন। এই রোযা প্রত্যেক জ্ঞানসম্পন্ন বয়স্ক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ।
রোযা যে ফরজ এই কথা কেহ অস্বীকার বা এনকার করিলে সে কাফের হইয়া যাইবে, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ্ তাআলা কালামে পাকে এরশাদ করেন:
يأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ.
অর্থঃ হে আমার ঈমানদার বান্দাগণ! তোমাদের উপর রমযান মাসের রোযা ফরজ করা হইয়াছে। যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী বান্দাদের উপর ফরজ করা হইয়াছিল। ইহা এইজন্য করা হইয়াছে যাহাতে তোমরা খোদাভীরুতা ও সাধুতা অবলম্বন কর।
রোযার শ্রেণীবিভাগ
রোযা চারি শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা-
(১) ফরজ রোযা।
(২) ওয়াজিব রোযা।
(৩) নফল রোযা।
(৪) মাকরূহ রোযা।
(১) ফরজ রোযা: রমযান মাসের রোযা এবং কাজা ও কাফফারার রোযা।
(২) ওয়াজিব রোযা: যে কোন প্রকারের মান্নতী রোযা।
(৩) নফল রোযা: রমযান মাস ছাড়া অন্যান্য মাসে রোযা রাখা, যেমন-আইয়্যামে বেজের অর্থাৎ প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোযা রাখা। মহররমের ৯ই ও ১০ই তারিখের রোযা রাখা। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রোযা রাখা ইত্যাদি।
মহররমের নফল রোযা: হাদীস শরীফে আছে, রমযানের পর মহররম মাসের রোযা সকল রোযার চেয়ে উত্তম। মহররমের প্রথম দশ দিন রোযা রাখার জন্য বেশ তাকিদ আছে। যদি কোন কারণে প্রথম দশদিন রোযা রাখা সম্ভব না হয়, তবে এ চাঁদের নয় ও দশ অথবা দশ ও এগার তারিখ রোযা রাখা উত্তম।
রজবের নফল রোযা: এ চাঁদের ১লা তারিখের রোযা তিন বছরের গুনাহের কাফ্ফারা, দ্বিতীয় তারিখের রোযা দু'বছরের গুনাহের কাফফারা এবং তৃতীয় তারিখের রোযা এক বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হয়।
শা'বানের নফল রোযা: হাদীস শরীফে শাবান মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখ রোযা রাখার জন্য তাকিদ আছে।
মাহে রমযানের ফরয রোযা: রমযান মাসের রোযা রাখা ফরয। ছেলেমেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে রোযা ফরয হয়। সুবহে সাদেক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া, স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাই রোযা। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি রোযা ভঙ্গ করলে, তাকে পরিবর্তে ক্রমাগত ষাটটি রোযা কাফফারা দিতে হবে।
যদি এটা করতে অক্ষম হয় তবে ৬০ জন মিছকীনকে দু'বেলা খাওয়াতে হবে। অথবা একজন মিছকীনকে ৬০ দিন দু'বেলা খাওয়াতে হবে। যদি খাওয়াতে না পারে, তবে ৬০ জন মিছকীনের প্রত্যেককে ছদকায়ে ফেতরা পরিমাণ ১ সের ১২ ছটাক গম অথবা তৎসম মূল্য প্রদান করলে কাফ্ফারা আদায় হবে।
কিন্তু যদি একজন মিছকীনকে ৬০ দিনের দু'বেলার খাদ্য একদিনে দেয় তবে কাফ্ফারা আদায় হবে না।
রোযার নিষিদ্ধ দিনসমূহ
সর্বমোট পাঁচ দিন রোযা রাখা নাযায়েয বা হারাম। ঈদুল ফিতরের এক দিন এবং ঈদুল আযহার ৪দিন। অর্থাৎ জিলহজ্জ মাসের ১০,১১,১২ ও ১৩ তারিখ। মোট এই পাঁচ দিন রোযা রাখা হারাম।
যাদের উপর রোযা রাখা ফরয
১। প্রাপ্তবয়স্ক, ২। সুস্থ ব্যক্তি, ৩। মুকীম, ও ৪। সজ্ঞান, ইহাদের উপর রোযা ফরয।
যেসব কারণে রোযা ভঙ্গ করা জায়েয
১। সাপে কাটিলে ২। হঠাৎ ভয়ানক পেট ব্যথা শুরু হইলে ৩। পিপাসার কারণে প্রাণ বাহির হইবার উপক্রম হইলে ৪। গর্ভবতী বা গর্ভের সন্তানের বিশেষ ক্ষতির আশঙ্কা হইলে। ৫। সফরে কষ্ট হইলে।
৬। বার্ধক্যজনিত কারণে রোযা রাখিতে না পারিলে। ৭। খোদাভীরু চিকিৎসকের মতে রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা হইলে। ৮। মেয়েলোকের হায়েয নেফাস হইলে।
উপরিউক্ত কারণে রোযা না রাখিতে পারিলে অন্য সময় কাযা করিবে।
যেসব কারণে রোযা না রাখা জায়েয
১। ভুলবশত পানাহার করিলে। ২। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হইলে। ৩। স্ত্রীলোক দেখিয়া বীর্যপাত হইলে। ৪। চোখে সুরমা লাগাইলে। ৫। শরীরে তেল মালিশ করিলে। ৬। আপনা আপনি বমি আসিলে।
৭। থুথু গিলিয়া ফেলিলে। ৮। পুরুষাঙ্গে তৈল মালিশ করিলে। ৯। মেসওয়াক করিলে। ১০। রাত্রি সহবাসের গোছল দিনে করিলে। ১১। ধুলাবালি গলার ভিতর ঢুকিলে। ১২। মশা-মাছি বা ধোঁয়া গলার মধ্যে ঢুকিলে।
যে যে কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না
১। ভুলবশত পানাহার করিলে। ২। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হইলে। ৩। স্ত্রীলোক দেখিয়া বীর্যপাত হইলে। ৪। চোখে সুরমা লাগাইলে। ৫। শরীরে তেল মালিশ করিলে। ৬। আপনা আপনি বমি আসিলে। ৭। থুথু গিলিয়া ফেলিলে। ৮। পুরুষাঙ্গে তৈল মালিশ করিলে। ৯। মেসওয়াক করিলে। ১০। রাত্রি সহবাসের গোছল দিনে করিলে। ১১। ধুলাবালি গলার ভিতর ঢুকিলে। ১২। মশা-মাছি বা ধোঁয়া গলার মধ্যে ঢুকিলে।
কাফ্ফারার বিবরণ
প্রতিটি রোযার জন্য দুইমাস অর্থাৎ ৬০ দিন মাঝখানে না ভাঙ্গিয়া লাগাতার রোযা রাখিতে হইবে। মাঝখানে রোযা ভাঙ্গিলে আবার শুরু হইতে রোযা রাখিতে হইবে। এবং পরে এক একটি রোযার পরিবর্তে এক একটি কাযাও করিতে হইবে।
অতএব একটি রোযা ইচ্ছাপূর্বক ভাঙ্গিলে ৬১টি রোযা রাখিতে হইবে। অক্ষম হইলে ৬০ জন মিসকীনকে দুইবেলা পেট ভরিয়া খাইতে দিতে হইবে। অথবা ১জন মিসকীনকে দুইমাস প্রত্যেক দিন দুইবেলা পেট ভরিয়া খাওয়াইতে হইবে।
রোযার মাকরূহসমূহ
(১) কোন কারণ ব্যতীত কোন বস্তু মুখে দিয়া চিবান। (২) বিনা কারণে জিহ্বা দিয়া স্বাদ গ্রহণ করা, তবে মেয়েলোকেরা সালুনে লবণ দেখার জন্য জিহ্বা দ্বারা কমবেশী হইয়াছে কিনা দেখা জায়েয আছে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে উহা ফেলিয়া দিবে। সুরুয়া পেটের ভিতরে যাহাতে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখিতে হইবে। (৩) গরমে অতিষ্ঠ হইয়া বার বার কুলি করা। (৪) পেষ্ট বা টুথ-পাউডার, কয়লা বা অন্য কোন তাজা মাজন দ্বারা রোযার দিনে দাঁত পরিষ্কার করা, কিন্তু শুকনা মেছওয়াক দ্বারা দাঁত পরিস্কার করা জায়েয হইবে। (৫) রোযা রাখিয়া অন্যের গীবত করা, মিথ্যা বলা, কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল কথাবার্তা বলা বা ঝগড়া-বিবাদ করা। (দোররুল মোখতার)
সেহরীর বিবরণ
রাসূলে করীম (সাঃ) বলেন- "তোমরা সেহরী খাইও। কেননা, উহাতে তোমাদের জন্য বরকত রহিয়াছে।” হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) আরও বলেন,-"যাহারা রোযা রাখিবার নিয়তে সেহরী খায়, তাহাদের প্রতি আল্লাহ্ তাআলা রহমত বর্ষণ করেন আর ফেরেশতাগণ উহাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করার জন্য দোয়া করেন।” (তাবরানী)
কোনও এক দিন নবী করীম (সাঃ) সেহরীর ফজীলত বয়ান সম্পর্কে ফরমাইয়াছেন- বেশী না হউক অন্ততঃ একটি খুরমা অথবা এক চুমুক পানি হইলেও সেহরী মনে করিয়া খাইও। তবু এমন বরকতি খাওয়া বাদ দিও না।
(বায়হাকী)
১। রোযা রাখিবার নিয়তে সেহরী খাওয়া সুন্নত। ক্ষুধা না থাকিলেও অল্প পরিমাণ কিছু খাইবে। সেহরী খাওয়ার নিয়তে ঘুম হইতে জাগিয়া সামান্য কোন জিনিস বা একটু পানি পান করিলেও সেহরী খাওয়ার বরকত পাইবে। ভোর রাত্রের খাওয়াকে সেহরী খাওয়া বলে। তারাবীহ নামাযের পরে খাইয়া শুইলে ভোর রাত্রে সেহরী খাওয়ার সওয়াব পাওয়া যাইবে না।
২। রাত্রি দ্বিপ্রহরের পরেই সেহরী খাওয়ার সময় আরম্ভ হয় তবে রাত্রির শেষ ভাগে সেহরী খাওয়া উত্তম, কিন্তু খেয়াল রাখিবে যাহাতে সোবহে সাদেক উপস্থিত না হয়।
৩। অনেকে রাত্রে সেহরী খাইতে না পারিয়া পরের দিন রোযা রাখে না, ইহা অন্যায় কাজ। যদিও কোন কারণে সেহরী না খাইতে পারে তবু রোযা রাখিতে হইবে।
৪। কাহারও রাত্রির শেষ ভাগে নিদ্রা ভাঙ্গিল, সে মনে করিল যে রাত শেষ হয় নাই এবং সেহরী খাইয়া ফেলিল কিন্তু পরে জানিতে পারিল যে, ভোর হওয়ার পরেই সে সেহরী খাইয়াছে। এহেন অবস্থায় তাহার রোযা আদায় হইবে না। তবে দিনে কিছু খাইবে না, রোযাদারের মত থাকিতে হইবে। পরে ঐ রোযা কাজা করিবে কিন্তু কাফ্ফারা দিতে হইবে না।
সেহরী খাওয়ার সময়
রাসূলে করীম (সাঃ) বলেন- "তোমরা সেহরী খাইও। কেননা, উহাতে তোমাদের জন্য বরকত রহিয়াছে।” হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) আরও বলেন,-“যাহারা রোযা রাখিবার নিয়তে সেহরী খায়, তাহাদের প্রতি আল্লাহ্ তাআলা রহমত বর্ষণ করেন আর ফেরেশতাগণ উহাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করার জন্য দোয়া করেন।” (তাবরানী)
কোনও এক দিন নবী করীম (সাঃ) সেহরীর ফজীলত বয়ান সম্পর্কে ফরমাইয়াছেন- বেশী না হউক অন্ততঃ একটি খুরমা অথবা এক চুমুক পানি হইলেও সেহরী মনে করিয়া খাইও। তবু এমন বরকতি খাওয়া বাদ দিও না।
(বায়হাকী)
১। রোযা রাখিবার নিয়তে সেহরী খাওয়া সুন্নত। ক্ষুধা না থাকিলেও অল্প পরিমাণ কিছু খাইবে। সেহরী খাওয়ার নিয়তে ঘুম হইতে জাগিয়া সামান্য কোন জিনিস বা একটু পানি পান করিলেও সেহরী খাওয়ার বরকত পাইবে। ভোর রাত্রের খাওয়াকে সেহরী খাওয়া বলে। তারাবীহ নামাযের পরে খাইয়া শুইলে ভোর রাত্রে সেহরী খাওয়ার সওয়াব পাওয়া যাইবে না।
২। রাত্রি দ্বিপ্রহরের পরেই সেহরী খাওয়ার সময় আরম্ভ হয় তবে রাত্রির শেষ ভাগে সেহরী খাওয়া উত্তম, কিন্তু খেয়াল রাখিবে যাহাতে সোবহে সাদেক উপস্থিত না হয়।
৩। অনেকে রাত্রে সেহরী খাইতে না পারিয়া পরের দিন রোযা রাখে না, ইহা অন্যায় কাজ। যদিও কোন কারণে সেহরী না খাইতে পারে তবু রোযা রাখিতে হইবে।
৪। কাহারও রাত্রির শেষ ভাগে নিদ্রা ভাঙ্গিল, সে মনে করিল যে রাত শেষ হয় নাই এবং সেহরী খাইয়া ফেলিল কিন্তু পরে জানিতে পারিল যে, ভোর হওয়ার পরেই সে সেহরী খাইয়াছে। এহেন অবস্থায় তাহার রোযা আদায় হইবে না। তবে দিনে কিছু খাইবে না, রোযাদারের মত থাকিতে হইবে। পরে ঐ রোযা ক্বাজা করিবে কিন্তু কাফ্ফারা দিতে হইবে না।
রোযার নিয়ত
نَوَيْتُ أَنْ أَصُومَ غَدَا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضٌ
لَّكَ يَا اللَّهُ فَتَقَبَّلْ مِنّى إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ .
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ আছুমা গাদাম্ মিন্ শাহরি রমাদানাল মুবা-রাকি ফারদাল্লাকা ইয়া-আল্লাহু ফাতাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আন্ তাসামীউ'ল 'আলীম্।
বাংলা নিয়ত: আমি আগামী দিন বরকতময় রমযান মাসের ফরয রোযা তোমার উদ্দেশে রাখার নিয়ত করলাম। হে আল্লাহ্! সুতরাং তুমি আমার নিকট থেকে কবুল কর। নিশ্চয় তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের নিয়ত
اللهم لك صمت وعليك توكلت رزقك وافطرت برحمتك يا ارحم الراحمين
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া 'আলাইকা তাওয়াক্কাল্তু ওয়া বি-রিযক্বিকা আফতারতু বি-রাহমাতিকা ইয়া-আরহামার রা-হিমীন্।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তোমারই জন্য রোযা রেখেছি এবং তোমারই উপর সম্পূর্ণ ভরসা করছি এবং তোমরাই প্রদত্ত রিযিক দিয়ে ইফতার করছি তোমারই করুণায়, হে দয়াশীলদের মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু।
তারাবীর নামাযের বিবরণ
তারাবির নামায এশার নামাযের পর হতে সুবহে কাজেব পর্যন্ত পড়তে পারা যায়। এশার নামাযের ফরয ও দু'রাকাত সুন্নতের পর বিতরের পূর্বে পড়তে হয়। তারাবীর নামায দু'রাকাত করে বিশ রাকাত পড়তে হয়।
তারাবীর নামাযের নিয়্যত
نَوَيْتُ أَنْ أُصَلِّي لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلوةِ التَّرَاوِيحِ سُنَّةُ رَسُولُ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উছোয়াল্লিয়া লিল্লা-হি তা'আ-লা-রাক্ 'আতাই ছলা-তিত্ তারাবীহি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তা'আ-লা-মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আব্বার।
তারাবীর নামাযের দোয়া
سبحان ذي الملك والملكوت سبحان ذي العزه والعظمه والهيبه والقدره والكبرياء والجبروت سبحان الملك الحي الذي لا ينام ولا يموت ابدا ابدا صبوح قدوس ربنا ورب الملائكه والروح
উচ্চারণ: সুবহা-না যিল্ মুলকি ওয়াল্ মালাকূতি সুবহা-না যিল্ ইযযাতি ওয়াল্ 'আযযাতি ওয়াল্ হাইবাতি ওয়াল্ কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল্ জাবারূতি সুবহা-নাল্ মালিকিল্ হাইয়্যিল্লাযী লা-ইয়ানা-মু ওয়ালা ইয়ামূতু আবাদান্ আবাদান্ সুব্বুহুন্ কুদ্দুসুন্ রাব্বুনা ওয়া রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়ার্ রূহ্।
অর্থ: আমি সার্বোভৌম ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ্ পাকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সম্মান, মহত্ত্ব, আতঙ্ক, ক্ষমতা, গর্ব ও অসীম ক্ষমতার মালিক আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি ঐ মহান বাদশাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, যিনি চিরঞ্জীব ও মৃত্যু বরণ করেন না। আমাদের প্রভু ও ফেরেস্তাদের ও জিব্রাঈল (আঃ) বা রূহের প্রভু অতি পবিত্র, পরম পবিত্র।
তারাবীর নামায শেষে দোয়া
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ بِرَحْمَتِكَ يَا عَزِيزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيمَ يَا سَتَارُ يَا رَحِيمُ يَا جَبَّارُ يَا خَالِقُ يَا بَارُ اللَّهُمَّ
أَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيرُ يَا مُجِيرُ يَا مُجِيرُ بِرَحْمَتِكَ يا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ .
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস্ আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউ'যুবিকা মিনান্না-রি ইয়া-খা-লিক্বাল্ জান্নাতি ওয়ান্না-রি বিরাহমাতিকা ইয়া-'আযীযু, ইয়া-গাফ্ফারু, ইয়া-কারীমু, ইয়া-সাত্তারু, ইয়া-রাহীমু, ইয়া-জাব্বারু, ইয়া-খা-লিকু, ইয়া-বাররু, আল্লা-হুম্মা আজরির্না- মিনান্না-র, ইয়া-মুজীরু, ইয়া-মুজীরু, ইয়া-মুজীরু, বি রাহমাতিকা ইয়া-আরহামার্ রা-হিমীন্।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট জাহান্নাম হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমারই করুণায়, হে জান্নাত ও জাহান্নামের সৃষ্টি কর্তা। হে পরাক্রমশালী! হে মহান দাতা! হে দোষ-ত্রুটি গোপনকারী!
হে দয়াময়! হে মহাক্ষমতাবান! হে স্রষ্টা! হে কল্যাণকারী! হে আল্লাহ্! আমাকে আশ্রয় দাও এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দাও, হে আশ্রয়দাতা! হে আশ্রয়দাতা! হে আশ্রয়দাতা! আপন করুণায়, হে সর্বাধিক দয়ালু।
রমযান মাসে তারাবীহর নামায জামাতে পড়ার সময় যদি কোন লোক ২, ৪, ৬, ৮, বা ততোধিক রাকাত জামাতে আদায় করতে পারে, তবে যত্ রাকাত জামাতে পড়তে পারে নি তত রাকাত বিতরের নামায জামাতে পড়ার পর পড়ে নেবে।

0 Comments