নামাযের মাকরুহ সমূহ, নামাজের মাকরুহ কয়টি? যেসব সময় নামাজ পড়া মাকরুহ

নামাযের মাকরুহ সমূহ, নামাজের মাকরুহ সময় সমূহ, নামাজের মধ্যে অপছন্দনীয় মাকরুহ কার্যাবলি আলোচনা কর, আজকের নামাজের মাকরুহ সময়, নামাজ মাকরুহ হলে করণীয়, নামাজের মাকরুহ সমূহ, মাকরুহ মানে কি, মাকরুহ খাবার সমূহ, সিগারেট কি হারাম না মাকরুহ, সালাতের নিষিদ্ধ কাজ কয়টি, নামাজের মাকরুহ সমূহ আহলে হক মিডিয়া, নামাজের মাসআলা সমূহ, নামাজের মাকরুহ সময় কয়টি, নামাজের হক, নামাজ মাকরুহ হওয়ার কারণ,

নামাযের মাকরুহ সমূহ, নামাজের মাকরুহ কয়টি? যেসব সময় নামাজ পড়া মাকরুহ

যেসব কারণে নামায মাকরুহ হয়ে থাকে সে সবের মধ্য হতে নিম্নলিখিত কারণসমূহ উল্লেখযোগ্য। যথা- (১) জামা-চাদর গায়ে না দিয়ে কাঁধের উপর ঝুলিয়ে রাখা। (২) ঝুলন্ত কাপড় হাত দ্বারা গুটিয়ে নেয়া। (৩) জামার আস্তিন গুটিয়ে নামায পড়া। (৪) মুখ, চোখ ঢেকে নামায পড়া।

(৫) চোখ বন্ধ করে নামায পড়া। (৬) ধূলা-বালি লাগার ভয়ে জামা কাপড় গুটিয়ে রাখা। (৭) নামাযরত অবস্থায় আঙ্গুল মটকান। (৮) কাপড়-চোপড় নাড়াচাড়া করা। (৯) এদিক-সেদিক তাকান বা খেয়াল করা। (১০) সিজদাহর স্থান হতে ধূলা-বালি, কংকর ইত্যাদি সরিয়ে ফেলা। (১১) কপালে ধূলা-বালি লাগলে তা মুছে ফেলা। 

(১২) ভালো পোশাক থাকতে ময়লা। পোশাক পরে নামায পড়া। (১৩) কোন প্রাণীর ছবি লটকানো ঘরে বা স্থানে নামায পড়া। (১৪) সিজদাহ্ করার সময় উরুর সাথে পেট মিলিয়ে রাখা। (১৫) উরুর সাথে কনুই মিলিয়ে রাখা। (১৬) কনুই না ঢেখে নামায পড়া। (১৭) বিনা ওজরে এক পায়ের উপর ভর করে নামায পড়া।

(১৮) বিনা ওজরে আসন পেতে বসা। (১৯) পাগড়ীর প্যাঁচের উপর সিজদাহ করা। (২০) সামনের কাতার খালি রেখে পিছনের কাতারে দাঁড়ান। (২১) বিনা ওজরে খালি মাথায় নামায পড়া। (২২) জামার বোতাম খোলা রাখা। (২৩) নামাযে রত থাকাবস্থায় শরীরে আড়-মোড় দেয়া।

(২৪) বিনা ওজরে গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ করা। (২৫) নামাযে রত থাকা অবস্থায় ইশারা-ইঙ্গিতে সালাম আদান-প্রদান করা। (২৬) মুখে অস্পষ্ট আওয়াজে শীশ দেয়া বা অন্য কোন আওয়াজ দেয়া। (২৭) বিনা কারণে একই নামাযে একই সূরা দু'বার পাঠ করা। (২৮) নামাযে রত থাকা অবস্থায় পায়চারি করা।

(২৯) প্রথম রাক'আত অপেক্ষা দ্বিতীয় রাক'আতে কিরাআত দীর্ঘ পড়া। (৩০) নামাযের মধ্যে থুথু ফেলা এবং নাক সাফ করা। (৩১) নাপাক জায়গায় জায়নামায বিছিয়ে নামায পড়া। (৩২) পুরুষরা বুকের উপর হাত বাঁধা। (৩৩) মহিলারা নাভির নিচে হাত বাঁধা। (৩৪) মহিলারা নামাযের জন্য ইকামাত বলা।

(৩৫) তাকবীর, তাসমী' ইত্যাদি মুখে উচ্চারণ না করা। (৩৬) অযথা দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করা, যাতে মুসল্লীরা বিরক্তিবোধ করে বা কষ্ট পায়। (৩৭) বিনা ওজরে খালি গায়ে নামায পড়া। (৩৮) নামাযে রত অবস্থায় কোন কীট-পতঙ্গ হত্যা করা। (৩৯) রুকু-সিজদাহ দেয়ার সময় তাড়িতাড়ি করা।

(৪০) কিরাআত পড়া শেষ না করেই রুকুতে যাওয়া। (৪১) কোন জিনিসের ঘ্রাণ নেয়া। (৪২) রুকু-সিজদায় তাসবীহ পাঠ না করা। (৪৩) রুকু করার সময় হাঁটুতে, সিজদাহ করার সময় জমিনে হাত না রাখা। (৪৪) ইমাম সাহেব মোক্তাদী অপেক্ষা উঁচু স্থানে দাঁড়ান। (৪৫) কোন প্রাণীর ছবির উপর সিজদাহ করা। (৪৬) এক সূরার কিছু অংশ পাঠ করে অন্য সূরা পাঠ করা। (৪৭) ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে কাতারের মধ্যে প্রবেশ করা (৪৮) অশ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তির ইমামতি করা।

(৪৯) পেশাব-পায়খানার বেগ নিয়ে নামায পড়া। (৫০) বিনা ওজরে অন্ধকারে নামায পড়া। (৫১) খুব পাতলা কাপড় যাতে শরীরের অংগ দেখা যায়, এমন কাপড় পরে নামায পড়া। (৫২) ইমামের আগে রুকু-সিজদাহতে যাওয়া। (৫৩) নামাযের মধ্যে আঙ্গুলের কর গুণে হিসাব রেখে তাসবীহ পাঠ করা।

(৫৪) নামাযের মধ্যে মাথার টুপি পড়ে গেলে তা উঠিয়ে মাথায় দেয়া। (৫৫) ফাসেক, অন্ধ, বিকলাঙ্গ লোকের ইমামতি করা। (৫৬). খালি জায়গায় ছোতরা বা আড় না দিয়ে নামায পড়া। (৫৭) গোসলখানায় নামায পড়া। (৫৮) পেশাব-পায়খানা, মন্দির ও কবরস্থান ইত্যাদি সামনে রেখে নামায পড়া।

(৫৯) জবেহর স্থানে নামায পড়া। (৬০) সিজদাহ্ হতে দাঁড়ানোর সময় মাটিতে হাত ভর দিয়ে উঠা। (৬১) জনসাধারণের চলাচলের পথে নামায পড়তে দাঁড়ানো। (৬২) লাল চকচকে কাপড় পরিধান করে নামায পড়া। (৬৩) সন্তান অথবা অন্য কিছু কোলে তুলে নেয়া। (৬৪) যে সকল ফরয নামাযের পর সুন্নত ও নফল নামায আছে, এরূপ ফরয নামাযের সালাম শেষে দেরি করা।

(৬৫) দীর্ঘভাবে মুনাজাত করা। (৬৬) কা'বা ঘরের ছাদে নামায পড়া। (৬৭) চনাবুট হতে ছোট কিছু খেয়ে ফেলা। (৬৮) বিনা ওজরে কোন কিছুর উপর হেলান দেয়া। এসব কারণের যে কোন একটি ঘটলেই নামায মাকরুহ হবে।

Post a Comment

0 Comments