ঈদুল ফিতরের নামায, ঈদের নামাজে ৬ তাকবীরের নিয়ম কী? কিভাবে ঈদুল ফিতরের নামায পড়তে হয়

ঈদুল ফিতরের নামায, ঈদের নামাজে ৬ তাকবীরের নিয়ম কী? কিভাবে ঈদুল ফিতরের নামায পড়তে হয়

ঈদুল ফিতরের নামায, ঈদুল ফিতরের নামাজের সময়, ঈদুল ফিতরের নামায, ঈদুল ফিতরের নামাজ, ঈদুল ফিতরের নামাজের তাকবীর, ঈদুল ফিতরের নামাজ কি ওয়াজিব, ঈদুল ফিতরের নামাজ কি ফরজ, ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার ফজিলত, ঈদুল ফিতরের নামাজ সুন্নত না ওয়াজিব, ঈদুল ফিতরের নামাজ কয়টায়, ঈদুল ফিতরের নামাজ সুন্নত না নফল, ঈদুল ফিতরের ফজিলত, ঈদের নামাজ, ঈদুল ফিতর নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া, ঈদুল ফিতরের নামাজ যেভাবে পড়বেন,

ঈদুল ফিতরের নামায

শাওয়াল মাসের ১লা তারিখে ঈদুল ফিত্রের নামায পড়তে হয়। যদি কোন বিশেষ কারণে এ দিন পড়তে পারা না যায়, তবে পরের দিনও পড়া যায়। সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পর থেকে দুপুরের পূর্ব পর্যন্ত এ নামায পড়তে পারা যায়।

ঈদের দিন সকালে কিছু মিষ্টি মুখ করে ফিতরি আদায় করবে। তারপর উত্তমরূপে মেসওয়াক, অযু-গোসল করে, ভাল কাপড় পরিধান করে সুগন্ধি লাগিয়ে মনে মনে তাকব্বীর বলতে বলতে নামায পড়তে যাবে।

তাকবীরে তাশরীফ

ঈদুল ফিতর নামায পড়তে যাবার সময় নিম্নের তাকবীরটি বলতে হয়।

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ .

উচ্চারণ: আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল্ হাম্দ।

ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়্যত

نَوَيْتُ أَنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلوةِ الْعِبْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتَّةِ تَكْبِيرَاتِ وَاجِبُ اللَّهِ تَعَالَى اقْتَدَيْتُ

بِهَذَا الْإِمَامِ مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ الله اكبر .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উছোয়াল্লিয়া লিল্লা-হি তা'আ-লা-রাক্ আতাই ছলাতি 'ঈদিল ফিতরে মা'আ সিত্তাতি তাক্বিরা-তিওঁ ওয়াজিবিল্লা-হি তা'আলা-ইক্বতাদাইতু বিহাযাল্ ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান্ ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

أَنَا إِمَامُ لِمَنْ حَضَرَ وَمَنْ يَحْضُرُ

এ নামায ছয় তাকবীরের সাথে ইমামের পিছনে পড়তে হয়। “আল্লাহু আকবার" বলে নিয়ত বাঁধার পর সানা পড়বে। ইমাম সানা পড়ার পর উচ্চ স্বরে তিনবার "আল্লাহু আকবার" বলে তত্ত্বীর বলবে। প্রথম তাকবীর ও দ্বিতীয় তাকবীর বলার সাথে সাথে ইমাম মুক্তাদী সকলেই হাত কান পর্যন্ত তুলে ছেড়ে দিবে, কিন্তু তৃতীয় তাকবীরে হাত কান পর্যন্ত তুলে নামাযের নিয়তের মত হাত বেঁধে ফেলবে।

তারপর মুক্তাদি ও ইমাম সাহেব সকলে মনে মনে আউযুবিল্লাহ্ বিসমিল্লাহ সম্পূর্ণ পড়বে। ইমাম প্রকাশ্যে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা বা আয়াত পড়বে।

এরপর তাকবীর বলে রুকূতে গিয়ে প্রথম রাকাতের নামায শেষ করে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা বা আয়াত পড়ার পর ইমাম শব্দ করে তিনবার তাকবীর বলার সাথে সাথে হাত কান পর্যন্ত তুলে ছেড়ে দিবে এবং চতুর্থ তাকবীর বলার সাথে সাথে রুকূতে গিয়ে অবশিষ্ট নামায শেষ করবে।

নামায শেষে ইমাম সাহেব দু'টি খুতবা পাঠ করে সকলকে নিয়ে দরূদ শরীফ পড়ার পর মুনাজাত করবে।

Post a Comment

0 Comments