জামা'আতের বিবরণ, জামাতে নামাজের নিয়ম, হাদীছে বর্ণিত জামা'আত বলে কি বুঝায়?

জামাতের নিয়ম, জামাতের নিবন্ধন, জামাতে নামাজের নিয়ম, জামাতের গুরুত্ব, jamater biboran, জামা'আতের বিবরণ, জামাতে নামাজের নিয়ম, হাদীছে বর্ণিত জামা'আত বলে কি বুঝায়?, জামাতে নামাজের নিয়ত, জামাতে নামাজের বিবরণ, কুরআন হাদিসের আলোকে জামাতে নামাজের গুরুত্ব, জামাতে নামাজ পড়া কি ওয়াজিব, জামাতে নামাজ পড়া কি ফরজ, জামাতে নামাজ পড়ার হাদিস, জামায়াতে নামাজ না পড়ার শাস্তি, জামায়াতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত, জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত আল কাউসার, জামাতে নামাজ পড়ার হুকুম কি, জামাতে বেতের নামাজ, জামাতে নামাজের নিয়ম, জামাতে নামাজের নিয়ত, জামাতে নামাজের ফজিলত,

জামা'আতের বিবরণ, জামাতে নামাজের নিয়ম, হাদীছে বর্ণিত জামা'আত বলে কি বুঝায়

জামা'আত শব্দের আভিধানিক অর্থ একত্রিত হওয়া। এখানে অনেক লোক সমবেত হয়ে নামাযের সময় হলে একজনকে ইমাম (অগ্রগামী) বানিয়ে তার পেছনে ইক্তিদা করে নামায আদায় করাকে ইসলামী শরী'য়তের পরিভাষায় জামা'আত বলে।

পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায জামা'আতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ এবং কারও মতে ওয়াজিব। রমজান মাসে এশার নামাযের পর তারাবীর নামায জামা'আতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।

আর রমজান মাসের মধ্যে এশা ও তারাবীর নামায আদায়ের পর ধীরস্থিরভাবে জামা'আতের সাথে তিন রাক'আত বেতেরের নামায আদায় করা মুস্তাহাব। এছাড়া ইস্তিষ্কার নামায, কুসুফের নামায জামা'আতের সাথে আদায় করা মুস্তাহাব।

জামা'আতের সাথে নামায আদায়ের ফযীলত

বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জামা'আতের সাথে নামায আদায়ের জন্য উম্মতদের প্রতি জোর তাকিদ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কতিপয় হাদীস ও ফযীলত নিম্নে উল্লেখ করা হল।

কোন এক হাদীসে মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- "একাকী নামায পড়ার চেয়ে জামা'আতের 'সাথে নামায আদায় করলে ২৭ গুণ বেশি ছাওয়াব পাওয়া যায়।"

মহানবী (সাঃ) জামা'আতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং স্বীয় বাস্তব জীবনেও তা প্রতিফলিত করেছেন। অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায়ও অন্য দু'জনের কাঁধে ভর দিয়ে এসে মসজিদে জামা'আতে শরীক হয়েছেন।

জামা'আত অবহেলাকারীদের সম্পর্কে রাসূলে কারীম (সাঃ) অত্যন্ত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

হাদীসে পাওয়া যায়, মহানবী (সাঃ) জামা'আতে অংশগ্রহণ করেনি এমন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার জন্য মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কেবলমাত্র ছোট শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধ লোকদের কষ্টের কথা ভেবে এটি করেননি।

এ ঘটনা হতে বুঝা গেল যে, জামা'আত কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে লোক এসব উপকারিতা হতে অলস, অমনযোগী ও উদাসীন রয়েছে সে লোক কতই না হতভাগ্য।

অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেন-"রাতের= অন্ধকারে যারা জামা'আতে অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসবে তাদের প্রতি সুসংবাদ হল, মহান আল্লাহ্ তা'আলা হাশরের কঠিন ময়দানে তাদেরকে পূর্ণ আলো দান করবেন।"

জামা'আত সম্পর্কীত কতিপয় মাসয়ালা

(ক) জুমু'আর এবং দুঈদের নামায জামা'আতে আদায় করা শর্ত। ইমাম ছাড়া অন্তত তিনজন লোক না হলে জুমু'আ এবং ঈদের নামায শুদ্ধ হবে না। (খ) পাগোনা নামাযের জন্য জামা'আত ওয়াজিব; অবশ্য যদি কোন ওজর না থাকে।

(গ) তারাবীহর নামায জামা'আতের সাথে আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্। (ঘ) কুসুফ অর্থাৎ সূর্যগ্রহণের নামায এবং রমজান মাসে বেতরের নামায জামা'আতের সাথে আদায় করা মুস্তাহাব। (৬) রমজান ছাড়া বেতেরের নামায জামা'আতে পড়া মাকরুহে তানযীহি। তবে কদাচিৎ দু'একদিন পড়লে মাকরূহ হবে না।

(চ) খুসুফ অর্থাৎ চন্দ্রগ্রহণের নামায এবং অন্যান্য নফল নামাযসমূহ খোলা-মেলাভাবে জামা'আত করা মাকরুহে তাহরীমি। (ছ) ফরয নামাযে একই মসজিদে দুবার জামা'আত করা মাকরুহ।

কিন্তু যদি প্রকাশ্য রাজপথের উপর মসজিদ হয় বা প্রথম জামা'আত যদি প্রকাশ্য আযান ছাড়া করা হয়ে থাকে বা মসজিদের নির্দিষ্ট মুতাওয়াল্লী ও মুসল্লিগণ ছাড়া অন্য লোকেরা জামা'আত করে থাকে, কিংবা মসজিদের ইমাম-মুয়াযযিন নির্দিষ্ট না থাকে কিংবা মসজিদ ছাড়া অন্যস্থানে জামা'আত করে থাকে, তবে দ্বিতীয় জামা'আত করা মাকরুহ হবে না।

ইমাম ও মোক্তাদীর বিবরণ

হযরত আবু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদীসে উল্লেখ আছে, রাসূলে কারীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- "মুসলমানদের ইমামতের জন্য ঐ ব্যক্তি যোগ্য যিনি সকলের চেয়ে অনেক বেশি ভালো কোরআন পাঠ জানেন। 

যদি উপস্থিত সকলেই এ ব্যাপারে সমান অধিকারী হন, তাহলে যিনি সকলের চেয়ে সুন্নত ও শরী'য়তের জ্ঞানে জ্ঞানী তিনিই ইমামতের যোগ্য। এ ব্যাপারে যদি উপস্থিত সকলেই সমান হয় তাহলে যিনি সকলের পূর্বে হিজরত করেছেন। এ ব্যাপারেও যদি সকলে সমান অধিকারী হয় তাহলে যিনি বয়সে বড় তিনিই ইমামতের যোগ্য হবেন। (মুসলি শরীফ)

এছাড়াও নিম্নলিখিত লোকদের ইমামতি করা জায়েয নয়। যেমন-

(১) বদকার, ফাসিক ও কোন বিদ'আতি লোকদের ইমামতি করা মাকরুহে তাহরীমি। তবে যদি এদেরকে ছাড়া অন্য কোন লোক না পাওয়া যায় তাহলে শিথিলতা রয়েছে।

(২) যে লোকের ইমামতে মুক্তদী অসন্তুষ্ট সে ব্যক্তি ইমামতি না করা উচিত। আর মুসল্লীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইমামতি করা মাকরুহে তাহরীমি।

(৩) ইমামকে মুক্তাদির ধৈর্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে সূরা-কিরাআত পাঠ করা উচিত এবং রুকু-সিজদাতে অযথা দেরি করা ঠিক নয়।

(৪) দাঁড়িবিহীন লোককে ইমাম নিযুক্ত করা মাকরুহ।

(৫) পুরুষদের জন্য মহিলাদের ইমামতিতে নামায পড়া জায়েয নেই।

(৬) মহিলাদের ইমাম মহিলা হলে কাতারের মাঝখানে সোজাসুজি দাঁড়াবে, কোনমতেই কাতারের আগে (পৃথকভাবে) দাঁড়ানো ঠিক হবে না।

মুক্তাদির হুকুম: জামাআতের সাথে নামায আদায় করার জন্য মুক্তাদিগণকে নিম্নলিখিত নিয়মসমূহ পালন করতে হবে তা না হলে নামায শুদ্ধ হবে না।

(১) মুক্তাদি ইমামের সাথে নিয়্যত করার সময় اقتدیت بهذ الامام )ইক্বতাদাইতু বিহাযাল ইমাম) বলবে। (২) ইমামের সাথে নিয়্যত করে নামাযের সকল বিধি-বিধানে ইমাতের অনুসরণ করা মুক্তাদির উপর ফরজ।

(৩) মুক্তাদি সব সময় ইমামের পিছনে দাঁড়াবে। মুক্তাদি একজন হলে ইমামের বরাবর ডান পাশে দাঁড়াবে। (৪) জামা'আতের সামনের কাতারে জায়গা খালি রেখে পেছনের কাতারে দাঁড়ান মাকরুহ। একা কাতার করাও মাকরুহ।

এ অবস্থায় সামনের কাতার হতে একজনকে পেছনে টেনে এনে কাতারবন্দি করতে হবে। এ ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধান থাকবে, যে লোককে সামনে কাতার থেকে টান দেয়া হবে সে লোকের মাছআলা সম্পর্কে জানা আছে কিনা? যদি টান দিলে আঁতকে উঠার ভয় থাকে তাহলে একাকীভাবেই দাঁড়াবে।

মুক্তাদির শ্রেণিবিভাগ: জামা'আতে অংশগ্রহণের দিক হতে মুক্তাদি তিন প্রকার।
যেমন-মুদরেক, মাসবুক, লাহেক।

মুদরেক: যে নামাযি প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত ইমামের সাথে নামায আদায় করেছে ইসলামী শরী'য়তের পরিভাষায় তাকে মুদরেক বলে।

মাসবুকের নামায

ইমামের সঙ্গে শরীক হওয়ার পূর্বে যেসব মুক্তাদির নামাযের কিছু অংশ ছুটে গেছে, ইমলামী শরীয়তের পরিভাষায় তাদেরকে মাসবুক বলা হয়। মাসবুক ব্যক্তির নামায আরম্ভ করার পূর্বে যে কয় রাক'আত নামায ছুটে গেছে, ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে, অবশিষ্ট নামাযসমূহ একাকীভাবে আদায় করে নিতে হবে।

মাসবুকের ছুটে যাওয়া রাক'আতগুলো একাকী নামায আদায়ের মত কিরাআত সহকারে পড়তে হবে এবং তা আদায় করতে গিয়ে ভুলবশত কোন ওয়াজিব বাদ পড়ে গেলে তাকে সাহু সিজদাহ্ আদায় করতে হবে।

মাসবুকের যে কয় রাক'আত নামায ছুটে গেছে তা আদায় করার নিয়ম হল, প্রথমে কিরআত বিশিষ্ট রাক'আতবিহীন রাক'আতসমূহ পড়বে। আর ইমামের সাথে যে কয় রাক'আত পড়েছে সে হিসেবে বৈঠক করবে। অর্থাৎ ঐ রাক'আতের হিসেবে যা দু'রাক'আত হবে তাতে প্রথম বৈঠক করবে।

আর তিন রাক'আতবিশিষ্ট নামাযে যা তৃতীয় রাক'আত হবে, তাতে শেষ বৈঠক করবে। যেমন কোন ব্যক্তি যোহরের নামাযের তিন রাক'আত হয়ে যাওয়ার পর (চতুর্থ রাক'আতে) জামা'আতে শরীক হল, এখন সে ইমামের (ডানদিকে) সালাম ফিরানোর পর বামদিকে সালাম ফিরাবার সাথে সাথে দাঁড়িয়ে নিম্নোক্ত নিয়মে ছুটে যাওয়া রাক'আতসমূহ আদায় করবে।

প্রথম রাক'আতে ছানা (তা'আউয়্যুয-তাসমিয়্যাহ) পার পর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা বা কিরাআত পড়ে রুকু-সিজদাহ করতে প্রথম বৈঠক করবে ও তাশাহহুদ পাঠ করবে। কেননা সে অংশীদার হওয়া রাক'আতের সাথে মিলে এটি তার দ্বিতীয় রাক'আত। এরপর সে তার পরবর্তী রাক'আতেও সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা বা কিরাআত পাঠ করবে এবং রুকু-সিজদাহ করে চতুর্থ রাক'আত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে।

চতুর্থ রাক'আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করেই রুকু-সিজদাহ করবে এবং শেষ বৈঠক করবে। কোন লোক মাসবুক ও লাহেক উভয়ই হল, সে লাহেক হওয়া রাক'আতসমূহ প্রথমে বিনা কিরাআতে পড়বে (যেন ইমামের পেছনেই নামায পড়তেছে)।

এরপর মাসবুক হওয়া রাক'আতসমূহ সে একাকীভাবে কিরাআতসহ পড়বে। যেমন-যদি কোন মুকীম মুক্তাদী এশার নামাযের এক রাক'আত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী কোন মুসাফির ইমামের পেছনে ইক্তেদা করে, তবে সে ব্যক্তি প্রথম রাক'আতের জন্য মাসবুক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ রাক'আতের জন্য লাহেক হয়।

অতএব ইমামের সালাম ফিরানো শেষ হওয়া মাত্রই সে দাঁড়িয়ে গিয়ে প্রথমে তৃতীয় ও চতুর্থ রাক'আত কিরাআত ছাড়া পড়বে এবং ইমামের হিসেবে চতুর্থ রাক'আতের পর তাশাহুদ "আবদুহু ওয়ারাসূলুহু" পর্যন্ত পড়ে পুনরায় উঠে প্রথম রাক'আত কিরাআতসহ পড়বে এবং তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা পড়ে সালাম ফিরাবে।

যদি কোন ব্যক্তি আছর বা যোহরের এক রাক'আত হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় রাক'আতে শরীক হয় তবে তার জন্য সর্বোত্তম হল, তখনই নামায ছেড়ে দিয়ে অযু করে এসে এক বা দুরাক'আত যাকিছু ইমামের সাথে পাওয়া যায় তাই ইমামের সাথে পড়ে বাকি রাক'আতসমূহ সে মাসবুকের নিয়মে আদায় করবে।

(তবে যদি এ ব্যাপারে তার মাসআলা ভালোভাবে জানা থাকে, তবে সে মাসবুক ও লাহেক হবে) অতএব অযু করে এসে সে ইমামকে নামাযের মধ্যে পেলে ইমামের সাথে নামাযে শরীক হয়ে যাবে এবং ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে গিয়ে যে কয় রাক'আতে সে লাহেক হয়েছে, সেগুলো আগে পড়ে পরে শরীক হওয়ার পূর্বে ছুটে যাওয়া প্রথম রাক'আত পড়বে।

আর যদি অযু করে এসে দেখে যে, ইমাম সালাম - ফিরিয়ে ফেলেছেন, তবে সে প্রথম এক রাক'আতে মাসবুক এবং শেষের তিন রাক'আতে লাহেক হল। এরূপ ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি প্রথমে শেষের তিন রাক'আত সূরা-কিরাআত ছাড়াই পড়বে যেন সে ইমামের পেছনেই পড়ছে।

কিন্তু এ তিন রাক'আতের প্রথম রাক'আতের পর বসে তাশাহুদ পড়বে, কেননা এটি ইমামের দ্বিতীয় রাক'আত। এরপর তৃতীয় রাক'আত পড়ে আবার বসবে এবং তাশাহুদ পড়বে। কেননা এটি ইমামের চতুর্থ রাক'আত। এরপর প্রথম রাক'আত সূরা-কিরাআতসহ পাঠ করবে।

কেননা এতে একদিকে সে ব্যক্তি মাসবুক এবং একাকী নামাযের মত কিরাআত পড়বে। তারপর বসে তাশাহ্হুদ, দরূদ ও দোয়ায়ে মাছুরা ইত্যাদি পড়ে সালাম ফিরাবে। যেহেতু এটিই তার শেষ রাক'আত।

লাহেকের নামায

ইমামের সাথে শরীক হওয়ার পর যে মুক্তাদীর কিছু রাক'আত কিংবা সম্পূর্ণ রাক'আত ছুটে যায় ইসলামী শরী'য়তের পরিভাষায় তাকে "লাহেক” বলে। যে কোন ওযরবশত এরূপ হয়ে থাকলে।

যেমন নামাযের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে কোন রাক'আত ছুটে গেল বা লোকের আধিক্যের কারণে রুকু-সিজদাহ্ ইত্যাদি করতে পারল না বা অযূ ছুটে যাওয়ায় অযূ করতে গেল ইত্যবসরে কিছু রাক'আত ছুটে গেল। (খওফের নামাযে প্রথম দল লাহেক। এভাবে যে মুকীম মুক্তাদী মুসাফির ইমামের পেছনে ইক্তেদা করে এবং মুসাফির কছর করে তখন উক্ত মুকীম ঐ ইমামের নামায শেষ করার পর লাহেক।)

কিংবা বিনা ওযরে ছুটে গেল, যেমন ইমামের আগে কোন রাক'আতের রুকু-সিজদাহ করার কারণে সে রাক'আত হিসেবে ধরা হল না, তবে ঐ রাক'আত হিসেবে সে ব্যক্তি লাহেক বলে গণ্য হবে।

লাহেকের কর্তব্য হল তার যে রাক'আতসমূহ ছুটে গেছে প্রথমে সেগুলো আদায় করবে, এরপর জামা'আত বাকি থাকলে জামা'আতে' শরীক হবে। জামা'আত শেষ হয়ে গেলে একাকী অবশিষ্ট নামায আদায় করবে।

লাহেকের নামাযের যে অংশ ছুটে যায় তা সে মুক্তাদীর মতই আদায় করবে। অর্থাৎ ইমামের পেছনে যেরূপ মুক্তাদীর কিরাআত পড়তে হয় না বা সাহু সিজদাহ্ দিতে হয় না, তদ্রূপ লাহেকও তার নামায একাকীভাবে পড়ার সময় কিরাআত পড়বে না এবং ভুলের জন্য সাহু সিজদাহ্ করবে না।

Post a Comment

0 Comments