Ticker

6/recent/ticker-posts

স্মার্টফোনে ডুবে যাচ্ছে সন্তান? এখনই বদলান এই অভ্যাসগুলো! বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার উপায় কী?

স্মার্টফোনে ডুবে যাচ্ছে সন্তান? এখনই বদলান এই অভ্যাসগুলো!, স্মার্টফোনের ক্ষতিকর প্রভাব কী কী?, শিশুদের উপর স্মার্টফোনের প্রভাব?, বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার উপায় কী?, বাচ্চাদের মোবাইল দেখলে কি ক্ষতি হয়?, শিশুদের মোবাইল আসক্তির কুফল, মোবাইল আসক্তি সমস্যা, মোবাইল আসক্তির কারণ ও প্রতিকার, বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়, মোবাইল আসক্তি রচনা, ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা, শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি, মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুফল রচনা, jamuna future park unofficial mobile shop, smartphone natok, jamuna future park mobile shop, jamuna future mobile, সবচেয়ে কম দামি স্মার্টফোন, সবচেয়ে দামি মোবাইল, সবচেয়ে কম দামে মোবাইল, সবথেকে দামি মোবাইল, sobcheye kom dami phone, সবচেয়ে কম দামে মোবাইল,

স্মার্টফোনে ডুবে যাচ্ছে সন্তান? এখনই বদলান এই অভ্যাসগুলো! বাচ্চাদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার উপায় কী

শিক্ষা, বিনোদন: আজকাল, স্ক্রিন ছাড়া অন্য কিছু অপরিহার্য। কিন্তু আপনি কি জানেন যে শিশুরা আগের তুলনায় স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপে বেশি সময় ব্যয় করে? পড়াশোনার পাশাপাশি, এই স্ক্রিনগুলি তাদের মনোযোগের সময়কাল হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠছে। মনোযোগের সময়কাল ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। তবে চিন্তা করবেন না: কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে শিশুর স্ক্রিন আসক্তি কমানো সম্ভব।

১. বইয়ের সাথে বন্ধুত্ব করুন

ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাতে আপনার সন্তানকে অনুপ্রাণিত করুন। ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য কাপড়ের বই পাওয়া যায়। তাদের বড়, রঙিন বই দিন এবং তাদের সাথে কথা বলুন। একবার তারা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে, স্ক্রিনের প্রতি তাদের আকর্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।

২. খেলাধুলা পুনরায় শুরু করুন

আপনার সন্তানকে ফোন ব্যবহার না করে বাইরে যেতে দিন। দিনে কমপক্ষে এক ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অবদান রাখে। বাইরে খেলাধুলা কেবল শরীরকেই নয়, মনকেও সতেজ করে।

৩. ঘুমের অভ্যাস

৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের দিনে ৯ থেকে ১২ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত ঘুমানোর সময় ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে স্ক্রিন টাইম কমে যাবে এবং তাদের মনোযোগের সময় বৃদ্ধি পাবে।

৪. অভিভাবকদের তত্ত্বাবধান অপরিহার্য

যদি অভিভাবকরা সচেতন না হন, তাহলে শিশুরাও সচেতন হবে না। স্কুল চলাকালীন মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করুন এবং শোবার ঘর থেকে স্ক্রিন এবং টেলিভিশন দূরে রাখুন। এই ছোট ছোট নিয়মগুলি শিশুদের মনোযোগ ফিরে পেতে সাহায্য করবে।

৫. বন্ধুদের সাথে সামাজিকীকরণ বৃদ্ধি করুন

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সামাজিক যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন্ধুদের সাথে গেম খেলা, ছবি আঁকা, লেখা বা অন্যান্য শখ তাদের বৌদ্ধিক এবং মানসিক বিকাশে অবদান রাখে।

৬. তাদের গৃহস্থালির কাজে অংশগ্রহণ করতে দিন

রান্না, ঘর পরিষ্কার করা বা তাদের খেলনা সরিয়ে রাখার মতো ছোট ছোট কাজে শিশুদের জড়িত করুন। এটি তাদের দায়িত্বশীল করে তুলবে এবং স্ক্রিনের প্রতি তাদের আগ্রহ কমাবে।

৭. আপনার নিজের আচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

যদি অভিভাবকরা সর্বদা তাদের ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তাদের সন্তানরাও এই অভ্যাসটি গ্রহণ করবে। তাই, আপনার টিভি বা ল্যাপটপ ব্যবহার পরিমিত করুন। পরিবারের সাথে কথা বলার সময় স্ক্রিন দূরে রাখার চেষ্টা করুন।

আপনার সন্তানের স্মার্টফোনের আসক্তি কীভাবে কমাবেন

আজকাল, শিশুরা তাদের বেশিরভাগ সময় স্ক্রিনের সাথে লেগে থাকে। কখনও টিভি স্ক্রিন, কখনও মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ। এই স্মার্ট ডিভাইসগুলির ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে, শিশুরা অবশেষে স্ক্রিনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এর জন্য বাবা-মাও মূলত দায়ী। তারা তাদের ব্যস্ত জীবনে দুবার চিন্তা না করেই তাদের বাচ্চাদের স্মার্টফোন দিয়ে দিতে পারেন। দিন দিন, সেই ডিভাইসটি শিশুর বন্ধু হয়ে উঠেছে। তারা স্মার্টফোন ছাড়া বাঁচতে পারে না।

কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন যে ছোট কিন্তু কার্যকর পরিবর্তনগুলি কেবল মোবাইল ফোনের আসক্তিই দূর করবে না, বরং বিষণ্ণতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও দূর করবে। তাছাড়া, তারা একাকীত্ব এবং ঘুমের সমস্যাও দূর করতে পারে। এই সহজ কৌশলগুলি অনুসরণ করে, আপনি সহজেই মোবাইল ফোনের আসক্তি কমাতে পারেন।

আপনার সন্তানকে স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য এই টিপসগুলি অনুসরণ করুন:

শুরু থেকেই পদক্ষেপ নিন

বাচ্চাদের স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে, শুরু থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। যদি আপনার সন্তান খেতে বা কিছু করতে না চায়, তাহলে অবিলম্বে স্মার্টফোন নিয়ে বসে থাকবেন না। পরিবর্তে, তাদের সময় দিন এবং তাদের বাড়ির কাজ করতে রাজি করার চেষ্টা করুন।

কথা বলুন

ব্যস্ততার কারণে আপনার সন্তানকে স্মার্টফোন দেবেন না। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, কথা বলার এবং তাদের গল্প বলার জন্য সময় বের করুন। এটি কেবল আপনার প্রতি তাদের স্নেহই বৃদ্ধি করবে না বরং আপনার একসাথে কাটানো সময়কে আরও উপভোগ্য করে তুলবে।

* বিজ্ঞপ্তি নিয়ন্ত্রণ: ফোন থেকে সমস্ত অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি (শব্দ, ব্যানার, কম্পন) সরিয়ে ফেলা উচিত।

* সময় নির্ধারণ করুন: আপনি কতক্ষণ অ্যাপটি ব্যবহার করবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা উচিত। আপনি যদি চান, তাহলে ফোনের স্ক্রিন কখন চালু হবে তা নির্ধারণ করতে পারেন।

* ঘুমানোর জায়গা থেকে ফোন দূরে রাখুন: অনেকেই ঘুমানোর সময় ফোন কাছে রাখেন। এই অভ্যাস এড়িয়ে চলা উচিত। এটি করার জন্য, সাইলেন্ট বা ভাইব্রেট মোড বন্ধ করুন এবং আপনার ফোনটি আপনার ঘুমানোর জায়গা থেকে দূরে রাখুন।

* গ্রেস্কেল স্ক্রিন: আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মোবাইল ফোনগুলি গ্রেস্কেল মোডে চালু করা উচিত। স্ক্রিন কালো এবং সাদা হলে, ফোন তার আকর্ষণ হারায় এবং এর ব্যবহার কমিয়ে দেয়।

* সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ লুকান: যারা ইমেল, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের মতো অ্যাপ ব্যবহার এড়াতে পারেন না তারা ইচ্ছা করলে সেগুলো লুকাতে পারেন। এটি করার জন্য, ফোনের হোম স্ক্রিন থেকে অ্যাপগুলি সরিয়ে আলাদা ফোল্ডারে সংরক্ষণ করুন।

* আপনার ফোন দূরে রাখুন: যদি এটি একেবারেই প্রয়োজনীয় না হয়, তাহলে এটিকে দৃষ্টির বাইরে রাখুন। প্রয়োজনে, সাইলেন্টে রাখুন এবং স্ক্রিনটি নিচের দিকে রাখুন।

* কঠিন আনলক পদ্ধতি: ফোনের আনলক পদ্ধতিটি কঠিন হওয়া উচিত। প্রয়োজনে, ফোনের টাচ আইডি বা ফেস আইডি বৈশিষ্ট্যটি অক্ষম করুন। যদি আনলক পদ্ধতিটি কঠিন হয়, তাহলে আপনি বারবার আপনার ফোন আনলক করতে এবং ব্যবহার করতে চাইবেন না।

* উজ্জ্বলতা কমাও: আপনার ফোনের উজ্জ্বলতা সর্বাধিক কমাতে ডিসপ্লে সেটিংস ব্যবহার করুন। এটি নীল আলো কমাবে এবং আপনার দৃষ্টিশক্তির জন্য উপকারী হবে।

* কম্পিউটারে কাজ করুন: কম্পিউটারে করা যায় এমন কিছু আপনার ফোনে করবেন না। এটি ফোন ব্যবহার এবং আসক্তি কমাবে।

* আপনার ফোনটি হাতের কাছে রাখুন: যখন আপনি বাইরে যাবেন, তখন অপ্রয়োজনে এটি আপনার সাথে রাখবেন না। উদাহরণস্বরূপ, কেনাকাটা বা ব্যায়াম করার সময় যখনই সম্ভব এটি বাড়িতে রেখে যাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ধীরে ধীরে এর প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে।

আপনার স্মার্টফোনটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। আপনার স্মার্টফোনটি শিশুদের নাগালের মধ্যে রাখবেন না। প্রায়শই, শিশু আপনার সাহায্য ছাড়াই এটি ব্যবহার শুরু করবে। এটি অবশেষে একটি আসক্তিতে পরিণত হবে।

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন দেবেন না

অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের কাজের জন্য স্মার্টফোন দিতে চান। এটি তাদের কাজে মনোযোগ দিতে সাহায্য করে, কিন্তু পরে এটি তাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একবার তারা একটি স্মার্ট ডিভাইস পেয়ে গেলে, তারা আশা করেন যে এটি ভবিষ্যতের কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। সেক্ষেত্রে, যদি তারা উপহারটি পছন্দ না করে, তবে তারা হতাশ হতে পারে।

👉 আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়তে আজই এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি করুন। কারণ অভ্যাস পরিবর্তন আগামীকাল পরিবর্তন আনবে।

Post a Comment

0 Comments