পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার নিয়ম, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও দোয়া, নামাযের ফযীলত ও গুরুত্ব

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সূচনা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তালিকা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ সময়, নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচি, আজ ফজরের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ, আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা pdf, এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও দোয়া, passbook namaz, paas waqt namaz, pass wakto namajer niyom, pach wakto namaz, pach wakto namaz time, pass wakto namazer sucana, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সূচনা, নামাযের ফযীলত ও গুরুত্ব, নামাযের বর্ণনা,

পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার নিয়ম, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত ও দোয়া, নামাযের ফযীলত ও গুরুত্ব

ফজরের নামাযের সময়: ভোরে সুবহে সাদিকের পর তথা পূর্ব আকাশ একটু পরিষ্কার হবার পর হতে সূর্যোদয়ের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত। মহিলাদের জন্য ফজরের আউয়‍্যাল ওয়াক্তে তথা একটু আবছা অন্ধকারেই ফজরের নামায আদায় করা উত্তম। আর পুরুষরা চারদিক আলোকিত হয়ে গেলে (সূর্যোদয়ের পূর্বেই) নামায আদায় করা উত্তম।

ফজরের নামায মোট চার রাক'আত। যথা: দুরাক'আত সুন্নত ও দুরাক'আত ফরয।

প্রথমে দুরাক'আত সুন্নত এবং পরে দুরাক'আত ফরয আদায় করতে হয়।

ফজরের দুরাক'আত সুন্নতের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكَعَتَى صَلوةِ الْفَجْرِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই ছালাতিল ফাজরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।'

অর্থ: ফজরের দুরাক'আত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কেবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

ফজরের দুরাক'আত ফরয নামাযের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلِّي لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই ছালাতিল ফাজরি ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: ফজরের দুরাক'আত ফরয নামায আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের নামায

যোহরের নামাযের সময়: ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় সূর্য যখন একটু পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে, তখন হতে যোহরের নামাযের সময় আরম্ভ হয় এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত যোহরের সময় বাকি থাকে।

প্রকাশ থাকে যে, দিনে সকালের অংশের ছায়া লম্বা থাকে।

এরপর সূর্য যত উপরে উঠে ছায়াও তত ছোট হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ছায়া সোজা বরাবর এসে দাঁড়ায়, আর এ দাঁড়ানো অবস্থাকে "ছায়ায়ে আছলী" বা মূল ছায়া বলে।

এরপর সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার সাথে সাথে আবার ছায়া বাড়তে আরম্ভ করে, এভাবে কোন বস্তুর ছায়া তার সমান অপেক্ষা একটু বড় হলে যোহরের নামায পড়া উত্তম। আর উক্ত ছায়া দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত যোহরের সময় থাকে।

যোহরের নামায মোট বার রাক'আত আদায় করতে হয়। যেমন-প্রথমে চার রাক'আত সুন্নত, এরপর চার রাক'আত ফরয এবং এরপর দুরাক'আত সুন্নত নফল দুরাক'আত। নিম্নে উচ্চারণ ও অর্থসহ নিয়্যতসমূহ লেখা হল।

যোহরের চার রাক'আত সুন্নত নামাযের নিয়্যত

نويت أَنْ أُصَلَّى لِلهِ تَعَالَى أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الظَّهْرِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাক'আতি হালাতিয যোহরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল গ'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: যোহরের চার রাক'আত সুন্নত নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের চার রাক'আত ফরয নামাযের নিয়্যত

نَوَيْتُ أَنْ أُصَلِّي لِلَّهِ تَعَالَى أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الظُّهْرِ فَرْضُ اللَّ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ.

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাক'আতি ছালাতিয যোহরি ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: যোহরের চার রাক'আত ফরয নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

যোহরের দুরাক'আত সুন্নত নামাযের নিয়্যত

نويتُ أَنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلوةِ صَلوةِ الظَّهْرِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই ছালাতিয যোহরে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: যোহরের দুরাক'আত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

নফল দুরাক'আত নামাজের নিয়ত

উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া-লিল্লাহি তা'আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।"

অর্থ হল, "আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।" 

আছরের নামায

আছরের নামাযের সময়: যোহরের নামাযের পর হতে আছরের নামাযের ওয়াক্ত আরম্ভ হয়ে পশ্চিমাকাশে সূর্যাস্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাকি থাকে। তবে স্মরণ রাখতে হবে, সূর্যের রং বিলীন হওয়ার আগে যে হলুদ বর্ণ ধারণ করে ঐ সময়ে নামায পড়া মাকরূহ। আছরের নামায কেবলমাত্র চার রাক'আত ফরয।

প্রকাশ থাকে যে, আছরের চার রাক'আত ফরয নামাযের পূর্বে চার রাক'আত সুন্নতে যাওয়ায়েদ (অতিরিক্ত) নামায আছে। কোন লোক যদি এ চার রাক'আত নামায আদায় করে, তাহলে অনেক ছাওয়াব পাবে। আর যদি কোন লোক আদায় না করে তাহলে কোন পাপ হবে না। তবে যেহেতু ছাওয়াব আছে সেহেতু আদায় করা উত্তম।

আছরের চার রাক'আত সুন্নত নামাযের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الْعَصْرِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাক'আতি ছালাতিল 'আছরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতা-ওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: আছরের চার রাক'আত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

আছরের চার রাক'আত ফরয নামাযের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلِّي لِلهِ تَعَالَى أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الْعَصْرِ فَرْضُ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাক'আতি ছালাতিল 'আছরি ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ আছরের চার রাক'আত ফরয নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

মাগরিবের নামায

মাগরিবের নামাযের সময়: সূর্যাস্ত যাবার সাথে সাথেই মাগরিবের নামাযের সময় আরম্ভ হয়ে পশ্চিমাকাশে লালীমা বজায় থাকা পর্যন্ত মাগরিবের নামাযের সময় থাকে। মাগরিবের নামায সূর্যাস্তের সাথে সাথেই পড়া উত্তম, দেরিতে পড়া মাকরূহ।

মাগরিবের নামায মোট সাত রাক'আত। যেমন-তিন রাক'আত ফরয আর দুরাক'আত সুন্নত নফল দুরাক'আত।

মাগরিবের তিন রাক'আত ফরয নামাযের নিয়্যত

نويت أن أصَلِّي لِلهِ تَعَالَى ثَلثَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الْمَغْرِبِ فَرْضُ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা ছালাছা রাক'আতি ছালাতিল মাগরিবি ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: মাগরিবের তিন রাক'আত ফরয নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

মাগরিবের দুরাক'আত সুন্নত নামাযের নিয়্যত

نُويْتُ أَنْ أُصَلِّي لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَيْ صَلُوةِ الْمَغْرِبِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই ছালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: মাগরিবের দুরাক'আত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

নফল দুরাক'আত নামাজের নিয়ত

উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া-লিল্লাহি তা'আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।"

অর্থ হল, "আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।"  

এশার নামায

এশার নামাযের সময়: মাগরিবের সময় শেষ হবার পর অর্থাৎ পশ্চিমাকাশের লালীমা দূর হওয়ার পর একটি সাদা বর্ণ দেখা যায় এবং সে সাদা বর্ণটি দূর হয়ে গেলেই এশার নামাযের প্রথম ওয়াক্ত আরম্ভ হয় এবং সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত সময় থাকে। তরে রাতের প্রথমভাগে আদায় করা মুস্তাহাব, রাত দ্বিপ্রহর' পর্যন্ত জায়েয। আর এরপর মাকরূহ সময়।

এশার নামায মোট সতের রাকা'আত যেমন-চার রাক'আত সুন্নত, চার রাক'আত ফরয, দুরাকা'আত সুন্নত, নফল দুরাক'আত ও তিন রাক'আত বেতের। এশার নামাজ ১৭ রাকাত গণনা করা হয় যেভাবে।

কেউ কেউ সব শেষে সালাতুল বিতরের পরেও ২’রাকাত নফল বলেছেন।

তো ১৫+২= মোট ১৭ রাকাত।

এশার নামাযের পূর্বেও আছরের নামাযের ন্যায় চার রাক'আত সুন্নাতে যায়েদাহ নামায আদায় করলে অসংখ্য ছাওয়াব পাওয়া যায়। আর না পড়লে কোন গুনাহ্ হবে না, তবে সময় থাকলে পড়ে নেয়া ভাল।

প্রকাশ থাকে যে, বেতের নামায যদিও পৃথক সময়ের নামায, কিন্তু এ নামায মানুষ সাধারণত এশার নামাযের সাথেই আদায় করে থাকে বলে এ তিন রাকা'আত বেতের নামাযকে এশার নামাযের সাথে উল্লেখ করা হল।

এশার চার রাক'আত সুন্নত নামাযের নিয়্যত

نويت أن أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوَةِ الْعِشَاءِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাক'আতি ছালাতিল এশায়ে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়া জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: এশার চার রাক'আত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

এশার চার রাক'আত ফরয নামাযের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى أَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الْعِشَاءِ فَرْضُ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلَى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাক'আতি ছালাতিল 'ইশাই ফারদুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: এশার চার রাক'আত ফরয নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আব্বার।

এশার দুরাক'আত সুন্নত নামাযের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكَعَنَى صَلوةِ الْعِشَاءِ سُنَّةُ رَسُولِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই ছালাতিল এশায়ে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: এশার দুরাক'আত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

নফল দুরাক'আত নামাজের নিয়ত

উচ্চারণ: নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া-লিল্লাহি তা'আলা রাকাআতি ছালাতিল নফলি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।"

অর্থ হল, "আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।" 

বেতের নামাযের সময় ও নিয়ম

বিভিন্ন ইমাম' সাহেবগণের মতে বেতেরের নামায এশার নামাযের পর হতে সুবহি সাদিকের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত থাকে। কিন্তু আমাদের ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতে এশা ও বেতের নামাযের একই সময়। (দুররুল মুখতার)

বেতেরের নামায। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয়। কিন্তু যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন, কেবল ঐ সব লোকেরাই শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর বেতেরের নামায আদায় করতে পারেন।

কেননা রাসূলে কারীম (সাঃ) এ নিয়মেই আদায় করতেন। আর যাদের শেষ রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই, তারা অবশ্যই এশার নামাযের সাথেই আদায় করবে।

বেতেরের তিন রাক'আত নামাযের নিয়্যত করে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে যথারীতি দুরাক'আতের পর বসে তাশাহুদ পাঠ করে দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাক'আতে সূরা-কিরাআত পাঠ করে পুনরায় তাহরীমা বেঁধে দোয়ায়ে কুনূত পাঠ করে যথারীতি রুকু-সিজদা ও শেষ বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করবে।

তিন রাক'আত বেতের নামাযের নিয়্যত

نويت أنْ أُصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى ثَلْثَ رَكَعَاتِ صَلوةِ الْوَتْرِ وَاجِبُ اللَّهِ تعَالَى مُتَوَجِهَا إِلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ .

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা ছালাছা রাক'আতি ছালাতিল বেতের ওয়াজিবুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: তিন রাক'আত বেতের ওয়াজিব নামায আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

দোয়ায়ে কুনূত পড়বেন

দোয়ায়ে কুনূত পড়তে ক্লিক করুণ

প্রকাশ থাকে যে, তাহাতাবী নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে, যারা দোয়ায়ে কুনূত জানে না তারা দোয়ায়ে কুনূতের বদলে নিচের দোয়াটি একবার পাঠ করবে:

ربَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةٌ وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ.

উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা 'আযাবান্নারি।

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণসমূহ দান কর এবং দোযখের শাস্তি হতে মুক্তি দাও।

অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে। যারা দোয়ায়ে কুনূত মুখস্থ না জানে তারা তিনবার সূরায়ে ইখলাছ পাঠ করবে।

সুন্নত ও নফল নামায

সুন্নত দুপ্রকার। যথা: ১। সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ যা অবশ্যই আদায় যোগ্য। আর আদায় না করলে পাপী হবে। ২। সুন্নাতে যায়েদাহ যা আদায় করলে অনেক ছাওয়াব রয়েছে, আর না করলে কোন গুনাহ্ হবে না। যেমন-আছরের চার রাক'আত ফরযের পূর্বে চার রাক'আত সুন্নত। আর এশার চার রাক'আত ফরযের পূর্বে চার রাক'আত সুন্নত ইত্যাদি নামায।

তদ্রূপভাবে নফল নামাযেও অনেক ছাওয়াব রয়েছে আর না পড়লে কোন পাপ হবে না। যেমন যোহর, মাগরিব ও.এশার নামাযের শেষে দুরাক'আত নফল নামায পড়া হয়ে থাকে। সুতরাং এসব নামায পড়লে যখন ছাওয়াব পাওয়া যায়, তাই সময় থাকলে আদায় করা উত্তম।

প্রকাশ থাকে যে, নফল নামাযের নিয়্যতসমূহ সুন্নত নামাযের নিয়মেই আদায় করতে হয় তবে এক্ষেত্রে সুন্নতের পরিবর্তে صَلْةِ النَّفْلِ )সালাতিন্নাফলি) এ কথাটি উচ্চারণ করতে হবে।

নামায আদায়ের নিয়ম

নামায আদায় করতে হলে প্রথমে ভালোভাবে অযু-গোসল করে পাক-পবিত্র শরীরে ভালভাবে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে পাক-পরিষ্কার বিছানায় দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম নিম্নের দোয়াটি পড়বে।

জায়নামাযের দোয়া

إنِّي وَجَهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَواتِ وَالْأَرْضِ حَنِيفًا وَمَا أَنَا من المشركين .

উচ্চারণ: ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাহ্ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাওঁ ওয়ামা আনা মিনাল মুশরির্কীন।

অর্থ: নিশ্চয় আমি কায়মনোবাক্যে ঐ সত্ত্বার দিকে মুখ করলাম, যিনি আসমান ও জমিনের অধিপতি এবং নিশ্চয়ই আমি মুর্শিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।

জায়নামাযের দোয়া পাঠ করা শেষ হলে যে ওয়াক্তের যে নামায আদায় করবে সে নামাযের নিয়্যত করে তাকবীরে তাহরীমা বাঁধবে।

প্রকাশ থাকে যে, তাকবীরে তাহরীমা বাঁধার জন্য পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে, যা পৃথক অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

ছানার দোয়া

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غيرك .

উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাছমুকা ওয়া তা'আলা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা।

অর্থঃ হে আল্লাহ্! তোমারই পবিত্রতার প্রশংসা করছি, তোমার নাম বরকতময় তোমার সম্মান খুবই সমুন্নত এবং তুমি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। এরপর তা'আউয়্যুয় পড়বে।

أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ . :

(আ'উযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)

অর্থ: বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে আমি মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এরপর তাস্মীয়াহ পাঠ করবে।

তাসমিয়াহ : بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

অর্থ: মহান করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।

নিয়্যত, তাকবীরে তাহরীমা, ছানা ও তা'আউয়্যুয-তাসমিয়াহ ধারাবাহিকভাবে পাঠ করার পর সূরা ফাতিহা পাঠ করে নিজের মুখস্থ যে কোন একটি সূরা কিংবা কোরআনের ছোট তিন আয়াত পরিমাণ আয়াত পাঠ করবে। এরপর রুকু করবে।

রুকুর তাসবীহ : . سُبْحَانَ رَبِّى الْعَظِيمُ সুবহানা রাব্বিয়াল 'আযীম

অর্থঃ আমি আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। এরপর তাসমী' পাঠ করে দাঁড়াবে।

তাসমী : . سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ সামি'আল্লাহু লেমান হামিদাহ

অর্থ: আল্লাহর প্রশংসাকারীদের প্রশংসা আল্লাহ্ শুনতে পান।

তাহমীদ : رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ রাব্বানা লাকাল হামদ।

অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক! সকল প্রকার প্রশংসা তোমারই জন্য। রুকু করার পর দাঁড়িয়ে পুনরায় তাকবীর বলে সিজদায় যাবে।

সিজদাহর তাসবীহ : سُبْحَانَ رَبِّى الْأَعْلَى সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা।

অর্থ: আমার মহান শ্রেষ্ঠ পালনকর্তার পবিত্রতা ঘোষণা করছি।

এভাবে প্রথম সিজদাহ্ দেয়ার পর তাকবীর বলে সোজা হয়ে বসবে এবং নিম্নের দোয়াটি পড়বে।

দু সিজদাহর মাঝে পড়ার দোয়া

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي .

আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়ারযুক্বনী।

অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং তোমার রহমতে হিদায়াত দাও এবং আমার রিযিক বৃদ্ধি করে দাও।

তাশাহহুদ

النَّحِبَّةُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاةِ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكاتُه - السّلامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّلِحِينَ .
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدَهُ وَرَسُولٌ .

উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু; আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন; আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

অর্থ: মৌখিক, শারীরিক, আত্মিক ও আর্থিক সর্বপ্রকার 'ইবাদাতই মহান আল্লাহ্ তা'আলার জন্য। হে রাসূলে কারীম (সাঃ)! মহান আল্লাহর রহমত, বরকত 'ও শান্তি আপনার উপর বর্ষিত হউক। আমাদের উপর এবং মহান আল্লাহ্ নেক বান্দাগণের উপরও শান্তি বর্ষিত হউক।

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মহান আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল।

তাশাহ্হুদ পাঠ করার সময় যখন, "আশহাদু আল্লা ইলাহা" বলবে তখন ডান হাতের শাহাদাত অঙ্গুলিটি একটু উপরের দিকে উঠাবে এবং বাকি আঙ্গুলসমূহ গুটিয়ে রাখবে। "ইল্লাল্লাহ" বলার সাথে সাথে শাহাদাত, অঙ্গুলি নামিয়ে ফেলবে এবং বাকি আঙ্গুলসমূহ যেভাবে ছিল সেভাবেই গুটানো থাকবে।

প্রকাশ থাকে যে, তাশাহুদ পড়ার সময় শাহাদাত অঙ্গুলি উঠানো মুস্তাহাব কিন্তু নিয়মের উল্টো হলে গুনাহগার হতে হবে। সুতরাং ভালোভাবে না বুঝে এ 'আমল না করাই উত্তম।

নামায যদি তিন বা চার রাক'আত বিশিষ্ট হয় তাহলে প্রথম বৈঠকে "আবদুহু ওয়া রাসূলুহু" পর্যন্ত পড়ার পর পুনরায় "আল্লাহু আকবার” বলে দাঁড়িয়ে বাকি দুরাক'আত বা এক রাক'আত নামায শেষ করে দ্বিতীয় বৈঠকে দরূদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করে, যথারীতি সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।

প্রকাশ থাকে যে, এখানে একটি বিষয় খুব খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যদি নামায় ফরয হয়ে থাকে তাহলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাক'আতে শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, অন্য কোন সূরা মিলাতে হবে না।

আর যদি সুন্নত বা নফল হয়ে থাকে তাহলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাক'আতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হবে। আর যদি দু'কি'আত বিশিষ্ট নামায হয়ে থাকে তবে শেষ বৈঠকে দরূদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করেই সালাম ফিরাবে।

দরূদ শরীফ

اللهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى
إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ

وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ
حَمِيدٌ مَجِيدٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ছাল্লি'আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা 'আলা ইব্রাহীমা, ওয়া'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া'আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা 'আলা ইব্রাহীমা ওয়া'আলা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

অর্থঃ হে আল্লাহ্! আপনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁর সন্তান-সন্ততিগণের উপর আপনার বিশেষ রহমত বর্ষণ করুন। যেমনিভাবে রহমত বর্ষণ করেছিলেন ইব্রাহীম (আঃ) এর সন্তান-সন্ততিগণের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসার যোগ্য ও সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী।

হে আল্লাহ! আপনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁর সন্তান- সন্ততিগণের উপর আপনার খাস বরকত দান করুন। যেমনিভাবে বরকত দান করেছিলেন ইব্রাহীম (আঃ) এবং তাঁর সন্তান-সন্ততিগণের উপর। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য ও সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী।

দোয়ায়ে মাছুরা

اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةٌ مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي أَنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ .

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাছীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন 'ইনদিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।

অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমার নিজের আত্মার উপর আমি অনেক যুলুম করেছি এবং একমাত্র আপনি ছাড়া আমার গুনাহসমূহ ক্ষমাকারী কেউ নেই। সুতরাং আপনি আমার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর আপনার দয়া দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি অতিশয় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ শেষে প্রথমে ডান দিকে ও পরে বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।

السَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ :

উচ্চারণ: আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

অর্থ: আপনাদের উপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক।

Post a Comment

0 Comments