একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু, একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া, নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৭

একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু


লক্ষ্মীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৭

লক্ষ্মীপুরে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু, এলাকায় শোকের মাতম সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ৭ জন নিহত হয়েছেন। 7 People From The Same Family Die.

বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খালে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে বাহারকে আনার জন্য মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়।

বেঁচে ফেরা প্রবাসী বাহার উদ্দিন ও আবদুর রহিম জানান, ঘুম চোখে মাইক্রোবাস চালাচ্ছিল চালক রাসেল। বারবার বলার পরও তিনি গাড়ি থামিয়ে সামান্যও বিশ্রাম নেননি। এর আগে কুমিল্লায় একবার দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে এসেছিল সবাই।

কিন্তু বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগেই ঘুমন্ত চালক গাড়িটি সড়কের পাশে খালে ফেলে দেন। গাড়িটি তাৎক্ষণিক ডুবেনি, ধীরে ধীরে ডুবতে থাকে। তখন চালককে গাড়ির লক খুলতে বললেও তিনি তা করেননি। তবে নিজে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যান। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেননি।

একপর্যায়ে গাড়ি থেকে প্রবাসী বাহার, তার বাবা আবদুর রহিম, শ্বশুর ইস্কান্দার মীর্জা, ভাবি সুইটি ও শ্যালক রিয়াজ বের হয়ে আসেন। তবে বাঁচতে পারেননি বাহারের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯), লামিয়া আক্তার (৮) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)। নিহতরা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির বাসিন্দা।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকে পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।

একই পরিবারের ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারে শোকের মাতম

একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া

ঢাকার বিমানবন্দর থেকে আসার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে পড়ে যায়। বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৫টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের তিন মেয়েশিশুসহ সাত জন নিহত হয়।

সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন গাড়িচালকসহ ৬ জন।

নিহতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামে (কাসালী বাড়ি)। ওই বাড়ির ওমান প্রবাসী বাহারকে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসার সময় পথে বাড়ি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বেঁচে ফিরতে পারা যাত্রীরা হলেন প্রবাসী বাহার, তার বাবা আবদুর রহিম, শ্বশুর ইসকান্দর মির্জা, শ্যালক রিয়াজ, ভাইয়ের স্ত্রী সুইটি ও গাড়িচালক রাজু।

একই পরিবারের সাত জনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তাদের আত্মীয়রা।

ওমান প্রবাসী বাহারের বাবা আবদুর রহিম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমার ছেলে প্রায় আড়াই বছর পর ওমান থেকে দেশে আসে। তাকে এয়ারপোর্ট থেকে আনতে আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় যাই। মঙ্গলবার রাতেই আমরা রওনা দিই। ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এলে চালক মাইক্রোবাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

একপর্যায়ে গাড়িটি রহমতখালী খালে পড়ে যায়। গাড়ির দরজা লক করা ছিল। আমরা ৬ জন জানালা দিয়ে বের হতে পারি। বাকিরা বের হতে পারেনি। খালে তীব্র স্রোত ছিল। তাই দ্রুত গাড়িটি তলিয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা পানির নিচে ছিল। এতে ডুবে তারা মারা যায়।’

বুধবার সকালে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে মাতম দেখা যায়। এলাকাবাসী এবং আত্মীয়স্বজনরা তাদের সান্ত্বনা দিতে আসেন। কিন্তু একে একে সাত জনের মৃত্যুতে স্বজনরা কোনও সান্ত্বনাই খুঁজে পাচ্ছেন না। বারবার বিলাপ করতে দেখা গেছে তাদের।

লক্ষ্মীপুরে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম

লক্ষ্মীপুর, ৬ আগস্ট ২০২৫ (বাসস) : তিন বছর পর ওমান থেকে দেশে আসেন প্রবাসী বাহার উদ্দিন। তাকে আনতে পরিবারের ১২ সদস্য মাইক্রোবাসযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে পড়ে পরিবারটির ৭ সদস্য মারা যায়। এ ঘটনায় আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। 

আজ বুধবার ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাজার এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খালে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাহারকে আনার জন্য মাইক্রোবাসযোগে পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে যান। 

বেঁচে ফেরা প্রবাসী বাহার উদ্দিন, আব্দুর রহিম জানায়, ঘুম চোখে নিয়ে মাইক্রোবাস চালাচ্ছিল চালক রাসেল। বার বার বলা শত্বেও গাড়ি থামিয়ে সামান্যও বিশ্রাম নেয়নি তিনি। এর আগে কুমিল্লায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসে। 

তিনি আরো বলেন, বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার আগে চালক গাড়িটি সড়কের পাশে খালে ফেলে দেয়। তখন চালককে গাড়ির লক খুলতে বললেও খুলে দেয়নি। তবে সে নিজে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে প্রবাসী বাহার, তার বাবা আব্দুর রহিম, শ্বশুর ইস্কান্দার মীর্জা, ভাবি সুইটি ও শ্যালক রিয়াজ বের হয়ে আসে। 

নিহতরা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির বাসিন্দা। আহত ৫জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসেন।

এদিকে বেলা ১০টার দিকে নিহত ৭জনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্বজনরা। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে আকাশ-বাতাস। তবে বেঁচে যাওয়া বাহার উদ্দিন, তার বাবা আবদুর রহিম ও শ্বশুর ইস্কান্দার মীর্জা পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। 

একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া

একই পরিবারে নিহত ৭: পরিবারে শোকের মাতম

ঢাকার বিমানবন্দর থেকে নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের তিন মেয়ে শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৭

এ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন গাড়িচালকসহ ছয়জন।  

নিহতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের কাসালী বাড়ি। ওই বাড়ির ওমান প্রবাসী বাহারকে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসার সময় পথে বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

জীবিতরা হলেন- প্রবাসী বাহার, তার বাবা আবদুর রহিম, শ্বশুর ইসকান্দর মির্জা, শ্যালক রিয়াজ ও ভাইয়ের স্ত্রী সুইটি এবং গাড়িচালক রাজু।  

এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক নেমে এসেছে। স্বজনদের হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন তাদের আত্মীয়রা।  

ওমান প্রবাসী বাহারের বাবা আবদুর রহিম বলেন, আমার ছেলে প্রায় আড়াই বছর পর ওমান থেকে দেশে আসেন। তাকে এয়ারপোর্ট থেকে আনতে আমরা পরিবারের সদস্যরা মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় যাই। মঙ্গলবার রাতেই আমরা রওনা দিই।

ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এলে চালক মাইক্রোবাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। গাড়িটি রহমতখালী খালে পড়ে যায়। এসময় গাড়ির দরজা লক করা ছিল। আমরা ছয়জন জানালা দিয়ে বের হতে পারলেও বাকিরা বের হতে পারেনি। খালে পানির তীব্র স্রোত ছিল। তাই দ্রুত গাড়িটি তলিয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা পানির তলায় ছিল। এতে ডুবে মারা গেছে।  

সকালে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকদের মধ্যে আহাজারি দেখা যায়। এলাকাবাসী এবং আত্মীয় স্বজনরা তাদের সান্ত্বনা দিতে আসেন। কিন্তু একে একে সাতজনের মৃত্যুতে স্বজনরা যেন কোনো সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না। বার বার বিলাপ করতে দেখা গেছে স্বজনদের।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments